বনেদি বাড়ির দূর্গা পূজার কথা উঠলেই যে দুটো নাম ভেসে ওঠে, সাবর্ণ রায়চৌধুরী দের পূজা - এক, দুই - শোভাবাজার রাজবাড়ির পূজা। জাঁকজমক, রীতি নীতি, আচার অনুষ্ঠান সব মিলিয়ে পুরানো কলকাতার আভিজাত্যের ধারক ও বাহক হিসেবে আজও টিকে রয়েছে। আদি কলকাতার বাবু শ্রেণির কিছু মানুষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দৌলতে বেশ ভালো রোজগারের পথ খুজে পায়। মূলত নুন আর লোহার ব্যাবসা করে, আর মোটা অঙ্কের নজরানা দিয়ে ছোট ছোট জমিদারির মালিক হয়ে উঠতেন। একই সাথে চলত দান ধ্যান ও নানান রকমের আমোদ ফুর্তি। লাখো টাকা উড়িয়ে চলত সমাজের চোখে সেরা হবার লড়াই। এই সেরা হবার তাগিত থেকেই পয়সাওয়ালা পরিবার গুলো শুরু করে দূর্গা পূজা। পূজার দিনগুলোকে আমোদ ফুর্তিতে ভরিয়ে তুলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করতেন না। কোম্পানির সাদা চামড়ার মাeলিকদের নিমন্ত্রণ করে উপঢৌকন দিয়ে ভরিয়ে দিতেন। দেশি মানুষদের জন্যেও থাকত ঢালাও আয়োজন। সব মিলিয়ে সে এক হৈ হৈ কান্ড, রৈ রৈ ব্যাপার ....
সে দিনও নেই, সেই মচ্ছবও আর নেই। তাঁদের উত্তরসূরী রা অবশ্য আজও আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে চলেছেন সেই ঐতিহ্য আর নিয়মনিষ্ঠা বজায় রাখতে। সেই রকমের কিছু বনেদি বাড়ির দূর্গা পূজার আয়োজন নিয়ে হাজির হলাম আজ