প্রাকৃতিক এবং নৃতাত্ত্বিক কারণে বিশ্বজুড়ে মৌমাছি উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। কৃষিতে বিষাক্ত কীটনাশকের নির্বিচার ব্যবহার; সেইসাথে দ্রুত পরিবেশ দূষণ, মৌমাছির জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাসে অবদান রাখছে। মৌমাছির মৃত্যু মানে আমাদের কৃষি ও বন সম্পদ ধ্বংস; যার ফলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং আমাদের বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতা প্রভাবিত হয়। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত ফুলের উদ্ভিদের 85% পরাগায়নের জন্য মৌমাছির উপর নির্ভরশীল। একইভাবে অতিরিক্ত শোষণের কারণে ঔষধি গাছও বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সারা বিশ্বে ওষুধ, নিউট্রাসিউটিক্যাল এবং কার্যকরী খাদ্য শিল্পে ঔষধি গাছের উচ্চ চাহিদার ফলে স্থানীয় বন থেকে ঔষধি গাছের অতিরিক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলে অনেক ঔষধি গাছ বিলুপ্তির পথে। তাই সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে মৌমাছি ও ঔষধি গাছ রক্ষা ও সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আমরা যদি তাদের রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদী কোনো উপযুক্ত উদ্যোগ না নিই; এই মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ হারালে আমরা বিপদে পড়ব।
গ্রামীণ নারীদের বিকল্প পেশা হিসেবে মৌমাছি পালন এবং ঔষধি গাছ বাগান উভয়ই করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। গ্রামীণ মহিলারা সহজেই বাড়ির উঠোন বা সংলগ্ন এলাকায় ঔষধি গাছের বাগান স্থাপন করতে পারে l ঔষধি গাছের বাগান গড়ে ওঠা এবং গাছে ফুল ফোটা শুরু হওয়ার সাথে সাথে মৌমাছি পালনের কাজে সহায়তা করার জন্য এই বাগানগুলিতে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা যেতে পারে। এইভাবে, খুব সহজেই মৌমাছি-ওষধি উদ্ভিদ সমন্বিত বাসস্থান ব্যবস্থা একটি জৈব প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে l সম্ভবত এই প্রথম সীমান্তে ‘বি কেজ’ তৈরি করে ‘জৈব প্রতিরক্ষা’ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে বিএসএফ। নদিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। ওই গোটা এলাকা জুড়েই এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের কাঁদিপুর অংশে কাঁটাতারের পাশে মৌমাছিদের চাষ শুরু হয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া অংশে বসানো হয়েছে মৌমাছির খাঁচা। কাঁটাতার নড়ে উঠলেই খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসবে মৌমাছিরা, আক্রমণ করবে অনুপ্রবেশকারী কিংবা চোরাচালানকারীদের উপর। কাঁটাতার বরাবর বিভিন্ন ঔষধি গাছের চাষের পরিকল্পনা নিচ্ছে বিএসএফ। বিভিন্ন ঔষধি গাছের চাষ করে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান করা যাবে ঔষধি গাছের চাষ শুরু হচ্ছে সীমান্তে। সফল হলে বড় এলাকা জুড়ে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা যাবে।
কবে বুঝব আমরা..যে simple lifestyle মানে শুধুমাত্র কৃচ্ছসাধন নয়, এই পৃথিবীটা সবার,মানুষ যে কোন অন্যের সব কিছু গ্রাস করতে চায় জানি না..কেউ তো অমরত্বের অধিকারী নয়!বসন্তোৎসবের মতো যদি বৃক্ষোরোপণও করত সবাই তাহলে আজ এই দিন দেখতে হত না I তাই এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা পরিস্থিতির তাৎপর্য বুঝতে পারি এবং মৌমাছি ও ঔষধি উদ্ভিদ সংরক্ষণে অংশগ্রহণে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি।
আমাদের দ্বারা সম্মিলিতভাবে নেওয়া প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ আমাদের প্রকৃতি এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে I