বিশ্ব গগন তলে এ মহাবিশ্বে লুটিয়ে পড়ে শোকের ছায়া,
অজস্র অশ্রুধারায় কাঁদিছে ধরণী, অবিরাম, অবিশ্রান্ত ।
সেই শরতের আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের মেলা,
সেই পুকুরের এক কোনে পড়ে থাকা শতদলের ঝাঁক,
সেই শ্যামল বাংলার মাঠের ধারে ফোটা এক কাশফুলের ঝাড় ,
চন্ডীতলার সেই গাছটিতে প্রস্ফুটিত শিউলি ফুল গুলি,
সেই অন্তহীন তটিনীর তরণীর শীতল জলে
ডানা ভেজানো রাজহংস গুলি ,
সেই শারদ প্রাতে ,মুক্তা রুপা হিমের পরশ করে বাস
সেই বহুধা বিস্তৃত আলোক রেখা, অনন্ত আঁধারের নিবারক যা,
কোথায় ? কোথায় আজ তাদের সেই স্নিগ্ধ হাঁসি ?
তাদের চক্ষু দুটি আদ্র ,অশ্রুধারায় লিপ্ত কেন ?
যেন এক শান্ত সমুদ্রে অকস্মাৎ আছড়ে পড়া ঝড়ের মতো ,
যেন এক মঙ্গল সন্ধ্যায় অকস্মাৎ নেমে আসা নিস্তব্ধ, অনন্ত, নির্মম আঁধার,
যেন গৃহের উঠোনে কোনো শিশুর ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্নের মতো;
প্রকৃতির সেই উজ্জ্বল হাঁসি
মিলিয়ে গেছে বিস্তৃতির অন্ধকারে ।
মাগো তুমি এসেছিলে বলে সেজেছিল এই ভুবন,
কত স্বপ্ন, কত আশা, কত উজ্জ্বল ভাবনা,
কত শিল্পের প্রকাশ, কত শিল্পীর প্রকাশ,
কত অবুঝ আকাঙ্খা,কত বৃত্তের খেলা,
সবের শেষ ঠিকানা কি ওই ঘাটের স্নিগ্ধ তরণী ?
না, তুমি তো চিত্তে রয়েছ মা, কাঠামোতে নও।
তবে এসেছে কেন আজ সুখের অবসান,
এসেছে কেন আজ তোমার বিদায়ের পালা?