উত্তর - পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে নীল সাগরের বুকে ভাসমান, ছবির মত সুন্দর ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের এক কৃষি নির্ভর শহর, গিমার এর সুজলা, সবুজ মরুদ্যান এর মাঝে দাঁড়িয়ে ইতিহাস অনুসন্ধানী থর হেয়েরডাল বলে উঠলেন, “আমরা তাকিয়ে আছি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের সেই সব সুপ্রাচীন পিরামিডগুলোর দিকে যেগুলো নির্মাণ কৌশলের দিক দিয়ে মিশরের পিরামিড শিল্পের সাথে সম্পর্কিত। এদের অভ্যন্তরেও একইরকম সমাধিক্ষেত্র আর সম্পদের ভান্ডার রয়েছে। কিন্তু গত দু' হাজার বছর ধরে এগুলোর কথা কেউ জানতই না।

১৯৯৪ সালের মাঝামাঝি আশি বছর বয়স্ক এই অভিযাত্রিক এবং জাতিতত্ত্ববিদের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের পিরামিডের উৎস সম্বন্ধে দেয়া বিস্ময়কর তথ্য বিশ্বের ঐতিহাসিক এবং পুরাতত্ত্ববিদদের মধ্যে বিতর্কের ঝড় তুলেছিল।

হেয়েরডালের আগ্রহের কেন্দ্র ছিল, গিমার শহরের দশ মিটার উঁচু একটি অদ্ভুত দর্শন আয়তাকার পিরামিড যার গায়ে সিড়ির ধাপ কাটা রয়েছে। আরো দুই পিরামিড যাদের একটিকে ঘিরে আছে পার্শ্ববর্তী দেয়াল। আরেকটিকে ঘিরে আছে দীর্ঘ প্রাচীর। এছাড়া পার্শ্ববর্তী কিছু ছাদহীন কক্ষ আর তাদের ভেতর দিয়ে এঁকে বেঁকে এগোনো সরু পথ।

এর আগে পেরুতে কুড়িটা পিরামিড তাদের প্রত্নবস্তু সমেত আবিষ্কার করার পর হেয়েরডাল গিমার এর এই অভিযানে আরো বেশি উৎসাহিত হয়ে পড়েন। হেয়েরডাল এর গবেষণালব্ধ বিশ্বাস ছিল - মিশরীয় সভ্যতা এবং মধ্য আমেরিকান সভ্যতার মধ্যে যোগ সূত্র ছিল একটাই - পিরামিড। গিমার এর পিরামিড গুলো এই দুই মহাদেশীয় সভ্যতার মধ্যে যোগ সূত্রের সূচক হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে। প্রাচীন মিশরীয়, মায়া এবং অ্যাজটেক সভ্যতার অধিবাসীরা সহনাগরিকদের মৃতদেহের সৎকার করত একই ভাবে - মমিকরণ করে। ইংরেজীতে যাকে বলে, মমিফিকেশান। এবং সেই মমিগুলিকে তারা তাদের নিজস্ব স্থাপত্যে তৈরী পিরামিডের অভ্যন্তরে সুরক্ষিত করত। যদিও উল্লেখ্য, এই তিন সভ্যতার মানুষদের মমিকরণের পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ তিন ভিন্ন ধরণের। এরই সূত্র ধরে হেয়েরডাল এর বদ্ধ ধারণা ছিল, গিমার এর এই প্রাচীন পিরামিড সভ্যতাতেও মমিকরণের রীতি প্রচলিত ছিল।

নরওয়ের অসলোতে অবস্থিত "কন - টিকি" সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা থর হেয়েরডাল উল্লেখ করেন, পঞ্চদশ শতাব্দীর স্পেনীয় আগ্রাসনের বহু আগের সময়কালে হাজার , হাজার বছরের পুরোনো প্রত্নবস্তুগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে ক্যানারি সভ্যতায় মমিকরণের একাধিক ইঙ্গিত মেলে। স্প্যানিশ ভাষায় সুদক্ষ এবং ক্লান্তিহীন সত্যান্বেষী হেয়েরডাল শুনেছেন গিমারের মানুষজনের মধ্যে সেই প্রাচীন মমিকরণের বিষয়ে প্রচলিত বিশ্বাস আজও বর্তমান। তাদের আলোচনায় তিনি শুনেছেন, ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে এক মেষপালক নিকটবর্তী একটি গুহায় খুঁজে পেয়েছিল বেশ কিছু মমি। দুর্ভাগ্যবশতঃ সেগুলোকে ঘেঁটে নষ্ট করা হয়েছিল।

স্প্যানিশ আগ্রাসনের আগে টেনেরিফ দ্বীপ, যেখানে গিমার শহর অবস্থিত, তার প্রাচীন অধিবাসীরা ছিল সোনালী চুল আর নীল চোখের "গুয়ানচে" প্রজাতি। যারা বহুকাল আগেই অবলুপ্ত হয়ে যায়। তাদের বেশ কিছু কঙ্কাল রাখা আছে টেনেরিফের সান্তাক্রুজ পুরাতাত্বিক সংগ্রহশালায়। গুয়ানচেদের ভাষা উত্তর আফ্রিকার "বারবার" প্রজাতির ভাষার সাথে সম্পর্কিত ছিল। তবে গুয়ানচেরা আনুমানিক ৭০০ থেকে ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাবদের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার কার্থেজ সভ্যতার ফিনিশিয়ান নাবিকদের সঙ্গে টেনেরিফ দ্বীপে পৌঁছোয়।

পরবর্তি বহু বছর ধরে টেনেরিফ দ্বীপে বদ্ধ জীবন যাপনের ফলে নাবিকবিদ্যার সমস্ত জ্ঞ্যান তারা বিস্মৃত হয়। ফলতঃ, ১৪৬ খ্রীষ্টপূর্বাবদে রোমানদের হাতে কার্থেজ সভ্যতার পতন হলে কার্থেজ এর সাথে টেনেরিফ এর সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন হয়। আর গুয়ানচেরা পৃথিবীর মূল জনস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই ভাবে পরবর্তী ষোলো শতাব্দী ধরে ঐ নির্জন দ্বীপটিতে গুয়ানচেদের সভ্যতার ধীরে, ধীরে অবসান ঘটে। কিন্তু গুয়ানচেদের ধর্মীয় বিশ্বাস আজও বেঁচে আছে। গিমার -এর ধর্মভীরু মানুষ আজও গুয়ানচেদের প্রাচীন একেশ্বরের উপাসনা করেন। যিনি টেনেরিফ এর সমস্ত পর্বতমালার ওপর বিরাজ করেন।

গুয়ানচেরা নিজস্ব মমিকরণ কৌশল ছাড়াও সভ্যতাকে দিয়ে গিয়েছে, মৃত্তিকা শিল্প এবং গুহা চিত্রশিল্প। যা তাদের জীবন এবং রীতিনীতি সম্বন্ধে উল্লেখ করে। তাহলে এরাই কি গিমারের পিরামিডগুলোর নির্মাতা ? ঐতিহাসিকরা বলেন তা একেবারেই অসম্ভব। কারণ গুয়ানচেরা শুধুই ভোতা পাথরের অস্ত্রের ব্যবহার জানত। ধনুর্বান আর ধাতুর ব্যবহার তারা জানতনা। যদিও হেয়েরডাল মনে করেন, খননকার্য চালালে ধাতবশিল্প এবং নৌশিল্পেরও বহু প্রমাণ মিলবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঐ পিরামিডগুলোর নির্মাণ কৌশল অনেকাংশে মেক্সিকো এবং পেরুর পিরামিডের মতো। আবার মিশরের পিরামিড শিল্পের সাথেও বেশ সাযুজ্য পাওয়া যায়। অবশেষে ক্যানারির ইনস্টিটিউটো দে এ্যাস্ট্রোফিজিকার তিন এ্যাস্ট্রোফিজিসিস্টস, এ্যাপারিচিও, বেলমন্টে এবং এস্তেবান এর গভীর গবেষণার পর হেয়েরডাল এই সিদ্ধান্তে আসেন, পিরামিডগুলো জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেব অনুযায়ী নির্মিত এবং তাদের নির্মাতারা সম্ভবতঃ সূর্যের উপাসনা করতেন।

১৯১৪ সালের ৬ই অক্টোবর নরওয়ের লারভিক - এ জন্মগ্রহণকারী থর হেয়েরডাল তাঁর মার অনুপ্রেরণায় প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা এবং ভূগোল নিয়ে গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেন। এই তিন বিষয়ে দীর্ঘ অধ্যয়নের সূত্রেই সভ্যতার আদি বিবর্তনের সম্পর্কে সেই জীবন শুরুর দিনগুলোতে ওনার ভেতরে এক গভীর আগ্রহ জন্ম নেয়। এবং সারা জীবন সেই আগ্রহ আর কৌতুহলকে তাড়া করে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়ে বেড়ান তিনি।

১৯৩৬ সালে, মাত্র বাইশ বছর বয়েসে, বিয়ের ঠিক পরের দিন স্ত্রীকে নিয়ে হেয়েরডাল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ফাতু - হিভা - র উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১৯৩৭ এর কোনো এক সময় তারা ফাতু - হিভায় পৌঁছন। সেখানে দ্বীপটির একেবারে অচেনা একটি কোণে ভারী খড়ের ছাউনি দেয়া, মাটি থেকে বেশ কিছুটা ওপরে তৈরী একটি বাংলোতে বাস করতে লাগলেন।

নানা অসুবিধে, কষ্ট সহ্য করেও যুবক স্বামী -স্ত্রী সেখানকার প্রাচীন মারকুয়েসান সভ্যতার শিল্প সামগ্রী ধ্বংসস্তুপ পরীক্ষা করে , সেখানকার মানুষের মৌখিক ইতিহাসের ধারা এবং দ্বীপের গাছপালা পরীক্ষা করে লিখিত ভাবে ঘোষণা করেন যে প্রাচীনকালে সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার সভ্যতাগুলোর সাথে মারকুয়েসান সভ্যতার যোগাযোগ ছিল।

এই যুক্তির সপক্ষে, ১৯৪৭ সালে বালসা গাছের হালকা কাঠ দিয়ে ইনকা সভ্যতার নৌকার ধাঁচে তৈরী , ইনকা দেবতা “কন – টিকি” - র নামাঙ্কিত এক নৌকায় পাঁচ সহযাত্রীর সাথে দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূল থেকে তাহিতি দ্বীপে পৌঁছন। একশো এক দিন ধরে সমুদ্রের বুকে ঐ সেকেলে পদ্ধতিতে তৈরী নৌকোয় সফল ভাবে অভিযান করে তিনি প্রমাণ করেন যে ঐ সব প্রাচীন যুগের নৌকোতেও দীর্ঘ মহাসাগরীয় যাত্রা সম্ভব ছিল। কন - টিকি নৌকাটি আজও অসলোর কন - টিকি সংগ্রহশালায় দেখতে পাওয়া যায়।

সারা জীবন স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলা থর হেয়েরডাল ১৯৫০ এর দশকে প্রচলিত ধারণার বিপরীতে গিয়ে প্রমাণ করেন যে দক্ষিণ আমেরিকার ইন্ডিয়ানরা গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জে ইওরোপীয়ানদের বহু আগে পা রেখে ছিল।

১৯৬০ এর মাঝামাঝি, কিছু ঐতিহাসিক ঘোষণা করেন প্রাচীন মিশরীয়রা তাদের ঐসব সেকেলে জলযান চেপে কখনোই এ্যাটলান্টিক মহাসাগর পেরোতে পারেননি। হেয়েরডাল মিশরের লিপি, প্রত্নসামগ্রী গবেষণা করে দেখলেন কিভাবে ঐসব নলখাগড়ার জলযান তৈরী করা যায়। তিনি খুঁজে পেলেন, মরোক্কোর লিনাক্স শহরে তখনো ঐ শিল্প বেঁচে আছে। সেখানে এক বিরাট মাপের প্যাপিরাস গাছের নৌকো নির্মাণের পর ১৯৬৯ এর মে মাসে হেয়েরডাল কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে মরক্কো থেকে সমুদ্রে ভাসলেন। কিন্তু গন্তব্যের মাত্র ৬০০ মাইল দূরত্বে কারিগরী ত্রুটির কারণে যাত্রা পণ্ড হল। তবে এই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে এক বছর পর, টিটিকাকা হ্রদ অঞ্চলের আয়মারো ইন্ডিয়ানদের নির্মিত অনুরূপ আরেকটা নৌকোয় চেপে আবারো অতলান্তিকের বুকে পাড়ি দিলেন তিনি। এবার ৫৭ দিন সমুদ্র যাত্রার পর ১৯৭০ এর জুলাই তে বার্বাডোজ এ পৌঁছলেন। প্রমাণ করলেন প্রাচীন মিশরীয়দের নৌযাত্রা সম্পর্কে এত দিনের ধারণাটা আসলে ভুল।

এর পরবর্তী গন্তব্যস্থল মালদ্বীপপুঞ্জ। ১১৫৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে দ্বীপপুঞ্জটি ইসলাম অধ্যুষিত। কিন্তু তার পূর্ববর্তী সময়ের সমস্ত পুরাতাত্বীক নিদর্শনগুলো অবহেলায় পড়ে আছে। হেয়েরডাল অবাক হয়ে দেখলেন, সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের হিসেব সম্পর্কিত কিছু স্থাপত্য শিল্প এবং বিরাট কানের লতি বিশিষ্ট কিছু প্রাচীন মূর্তি । এসবের সূত্র ধরে হেয়েরডাল শ্রীলঙ্কা, ভারত হয়ে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া এবং সুমেরীয় সভ্যতার ধ্বংসস্তুপে অন্বেষণ চালালেন। শেষে বাহরিন হয়ে পৌঁছলেন ইন্ডাস উপত্যকার ধ্বংসস্তুপের মাঝে। আর এত দিনের এই দীর্ঘ গবেষণার পর তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন যে প্রাচীন কালে শ্রীলঙ্কা থেকে নৌ পারদর্শী এক প্রাচীন জাতি মালদ্বীপে এসে পৌঁছয় এবং সভ্যতা গড়ে তোলে। এই কারণে ইসলামের বহু আগে মালদ্বীপ বৌদ্ধধর্মী ছিল।

১৯৭৭ সালে ইরাকের আল কুমেরাতে হেয়েরডাল " টাইগ্রিস " নামে আরেকটি প্রাচীন কারিগরির নৌকা তৈরী করে টাইগ্রিস নদী ধরে যাত্রা শুরু করে পার্সিয়ান গালফ অতিক্রম করে আরব সাগরের বুকে ভেসে পাকিস্তান হয়ে লোহিত সাগরে যাত্রা শেষ করেন। চার মাস ধরে এই সমুদ্র যাত্রা চলে। লক্ষ্য ছিল, মেসোপটেমিয়া এবং সুমেরীয় সভ্যতার সাথে ইন্ডাস উপত্যকা সভ্যতার জলপথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অস্তিত্ব খুঁজে বার করা।

১৯৮১ এবং '৮৪ সালে হেয়েরডাল আজারবাইজান এর গবুস্তান- এ কয়েকটি প্রাচীন দেয়াল চিত্র দেখে থমকে যান। চিত্রগুলোতে আঁকা নৌকাগুলোর সাথে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলের ভাইকিং সভ্যতার নৌকার গঠনের আশ্চর্য মিল। এরপর তিনি খোঁজ পান ত্রয়োদশ খ্রিস্টাব্দের এক স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ঐতিহাসিক এবং পুরানবিদ স্নোরি স্টারলুসন এর লেখা এক আখ্যানের, যাতে উল্লেখ করা আছে যে, কিম্বদন্তী ভাইকিং দেবতা "ওডিন " আসলে একজন রাজা ছিলেন। যিনি তার লোকজন নিয়ে সুদূর "আসের" নামে এক দেশ থেকে যাত্রা করে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে এসেছিলেন এবং রাজত্ব স্থাপন করেছিলেন। এই "আসের" কেই হেয়েরডাল আজেরবাইজান বলে মেনে নিয়েছিলেন এবং আখ্যানটিকে চোখ বুজে বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে আজেরবাইজান এবং রাশিয়ায় একাধিক খননকার্য চালান। তার এই বিশ্বাসকে ঐতিহাসিক মহল কোনো গ্রাহ্যের মধ্যেই আনেনি এবং তীব্র সমালোচনা করে। কিন্তু তিনি তার বিশ্বাসে অবিচল ছিলেন।

এর প্রায় বছর দুই বাদে হেয়েরডাল এর মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকের থেকে অসুখ সম্পর্কে শেষ কথা শোনার পর তিনি খাওয়া বন্ধ করে দেন। এবং কোনোরকম চিকিৎসা না করিয়ে নিজেকে শারীরিক আর মানসিক ভাবে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করেন। অবশেষে , ২০০২ সালের ১৮ই এপ্রিল এই দুর্দমনীয় অভিযাত্রিক থর হেয়েরডাল ৮৭ বছর বয়েসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

.    .    .

Discus