Image by Dulce Villada from Pixabay
জ্বরে পুড়ে যাওয়া আমার একলা দুপুর,
যেদিন থেকে তুমি রয়েছ আমার ভেতরে।
জ্বরের ঘোরে ভ্রম দেখি তোমায় মাথার পাশে,
মনে হয় অসুখ আমায় নিয়ে চলে কত সুখে।
আমি চাই জ্বরটা আমার ভেতরে থাকুক।
আমি চাই তুমি আমার ভেতরে থাক।
অসুখে আক্রান্ত আমার মস্তিষ্কে তোমার বাস।
অষ্টপ্রহর তোমায় দেখি চারপাশে।
কথা বলা, পথ চলা, রাগে, অনুরাগে তুমি,
মনের ডাক্তার তোমায় তাড়ানোর ওষুধ দেয়।
সে ওষুধ আমি লুকিয়ে রাখি চোর - কুঠুরিতে।
আমার অসুখ - মস্তিষ্কে তোমায় বাঁচিয়ে রাখতে।
আমার যৌবন অভিশপ্ত, কর্মহীনতার নাগপাশে,
ছেঁড়া চটির সেলাইয়ে পথ চলার আশ্রয়ে।
দূর দৃষ্টিতে ভাসমান তোমার মরীচিকা,
আমার পৌরুষের সীমাবদ্ধতা,
ছাত্র পড়ানোর কটা টাকা।
রোজ সন্ধ্যা পারে বাস থেকে নামে তোমার আলেয়া,
অফিস ফেরত ঝলমলে তোমার উপস্থিতি।
বাস স্টপের অন্ধকারে মিশে থাকি আমি,
অদৃশ্য অশরীরী আমার আকুল দৃষ্টিতে শুধু তুমি।
বহু অপমানের চাবুকে রক্তাক্ত আমার বেকারত্ব,
ব্যর্থতার হতাশায় পাথর চাপা শরীরে ঝিম ধরে।
উদাসীন সমাজ জানে শুধু ক্ষত দিতে,
সেই ক্ষতের যন্ত্রণা কামড়ে বেঁচে চলি, তোমার উপস্থিতিতে।
তোমার বিয়ের সানাই আমার রাতের ঘুম কাড়ে,
লাল চেলিতে লালপরি তুমি যাও দূরে সরে।
ব্যর্থতার বিস্মৃতিতে ডুবে চলি আমি,
যেন এক জলজ প্রাণী স্পর্শ করে মহাসাগরের জমি।
অনেক বছর আগে অতীত হওয়া এসব দিন।
স্মৃতির তিক্ততায় আজও করে আমায় বিলীন।
তবু রোজ সন্ধ্যায় দাঁড়াই এসে বাস স্টপের আঁধারে।
আজ বদ্ধ উন্মাদ আমি খুঁজে ফিরি তোমার সুগন্ধ,
শরীরে, অশরীরে।