Photo by Hans Veth on Unsplash
তোতাটা উড়ে এসে বসলো পাশের বাড়ির বারান্দার গ্রিলের রেলিংটায়ে। ওই বাড়িরই সান-শেডটায়ে একটা পায়রা অনেকক্ষণ ধরে বসে ছিল।
তোতা টা এসেই খুব অবজ্ঞা সূচক ভঙ্গিতে পায়রাটার দিকে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো তারপর অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে বসে রইলো।
পায়রা: সেই তো আমার পেছন পেছন উড়ে এলি, তা ওই ভাবে মুখ ফিরিয়ে বসলি যে বড়ো? আমার বর দেখলে তোর যে আজ কি করবে না। ভেবেই হাসি পাচ্ছে আমার। হি হি হি।
তোতা: কে রে ? ও তুই ? দেখতে পাইনিরে এতো ধূসর রং না তোর, দেয়ালের রঙের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। বাড়ি গিয়ে আজ ভালো করে একটু সাবান মেখে চান করিস তো যদি একটু পদের দেখতে লাগে তোকে। আর তোর বরের কথা কি বলছিলি, যা না তোর রূপের ছিরি তোর পেছনে নাকি আমি আসবো? হাহঃ।
পায়রা: তোর সেই রূপের দেমাগ এখনো গেলো না দেখছি। অথচ আমাদের সমাজে তোর এই এতো মোটা চেহারা, সবুজ রং, লাল ঠোঁট, গলায় লাল দাগ, এত্ত বড়ো ল্যাজ নিয়ে যা হাসাহাসি হয়না কি বলবো তোকে। প্রত্যেকে বলে ঠিক মনে হয় সক্কাল সক্কাল সং সেজে যাত্রা করতে বেরিয়েছে। হা হা হা।
তোতা: এর জন্যই তোদের মতো হিংসুটিদের সঙ্গে আমি কথা বলিনা। নিজেরা বিচ্ছিরি আবার অন্যের রূপ দেখে হিংসে। যত্তসব পাড়াগেঁয়ে কুচুটে মহিলা।
এরই মধ্যে কোত্থেকে এক ময়ূর হুশ করে উড়ে থুড়ি বোধয় লাফিয়ে দোতলা বাড়িটার ছাতে এসে বসলো। তার পেখমটা দোতলার বারান্দায় এসে ঝুলছে। কতশত রঙের যেন সমারোহ।
ময়ূর একটিবার নীচে দুজনের দিকে তাকিয়ে নিয়ে: হ্যাঁ রে নীচে থেকে শুনলাম তোরা রূপ নিয়ে কিসব আলোচনা করছিলি। বল শুনি ঠিক করে কি বলছিলি।
পায়রা তৎক্ষণাৎ: কই কিছু না তো গো? এবার তোতার দিকে ফিরে "ওই আমি আসি রে ঘরে ঢের কাজ আছে।"
তোতা: দাঁড়া আমিও যাবো অনেক বেলা হলো গপ্পো করতে করতে টেরই পাইনি।