সে এক অনন্য মধুর মুহূর্ত যখন একপাশে দাঁড়িয়ে
বিশ্বকবি বিশ্ব চিন্তক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ,
আর অন্য পাশে আমেরিকান লেখিকা শিক্ষাবিদ
শ্রমজীবী মানুষের সাথী হেলেন কেলার
এক অসীম মানুষিক শক্তি
সাক্ষাৎ অদম্য জেদের এক মূর্ত প্রতীক।
দুই মাধ্যম এক হোলো অনুভূতির রূপ পেল ভাষা।
একজনের স্পর্শ আর অন্যজনের কলম
এক হয়েছিল সেই সুদূর অতীতের মধুর মুহূর্তে।
হেলেন কেলার ছিলেন দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তিহীন
তবুও জগতের সৌন্দর্য আঁধারের কালোতে
বন্দি ছিলো না তাঁর কাছে।
তিনি সেদিন চোখে দেখেননি কানেও শোনেননি
শুধু হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছেন জগতের আলো
ছুঁয়ে দেখেছেন আর সেই আলোই তিনি খুঁজেছেন
সেদিন কবিগুরুর মাঝে তাঁর পাশে বসে
দাঁড়ি গোঁফ মুখে হাত দিয়ে তাঁর হাত ধরে
স্পর্শের ভাষায় হেলেন কেলার সেদিন
অনুবাদ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথকে
আর অনুভব করেছিলেন
এক মহাজাগতিক সৌন্দর্য
দু’জন সেদিন হয়েছিলেন দু’জনের পরিপূরক।
একজন শব্দ দিয়ে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়েছেন
আর একজন শুধু স্পর্শের ভাষায়
অন্ধকার সরিয়ে হয়েছেন আলোর দিশারী।
তাঁদের এই সাক্ষাতই সন্ধান দিয়েছিলো
বহু নতুন ভাষার যেখানে শব্দ নয় স্পর্শ অনুভূতি
আর অন্তরের আলোই যথেষ্ট
যেখানে কবির কলম ভাষা পেলো
“চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে
অন্তরে আজ দেখব যখন আলোক নাহি রে”।