Image by Alana Jordan from Pixabay
অশক্ত শরীরে হাঁটলাম কিছুক্ষণ
ছোটদের সাথে
যদিও আমার বয়সী কয়েকজন আছে
শান্ত মিছিল দলবদ্ধভাবে এগিয়ে চলেছে
মধ্য রাতে ধীর গতিতে।
অগুনতি লোকজন রাস্তার দু'ধারে
শঙ্খধ্বনির গম্ভীর প্রকাশ থমথমে ভাব
চোখেমুখে দৃঢ়তা
ব্যর্থ হবে না রাত জাগা
বিচার পাবেই আমাদের অভাগা মেয়েটা।
হারিয়ে গেল
নৃশংসভাবে পাশবিক অত্যাচারে
খবরটা শুনতেই
উঠেছিলাম শিউরে।
প্রতিবাদ করেছিলাম নিজের সাথে
কে করেছে খুন ধর্ষণ
কেন সেই খুনীদের খুঁজে পাচ্ছে না
কী করছে পুলিশ প্রশাসন?
গুমরে গুমরে অশক্ত শরীরে হলাম
একেবারে ছারখার
কেউ কী করবে না প্রতিবাদ
পাবে না মেয়েটা বিচার?
নিজের সাথেই করে চলেছি লড়াই
রাস্তা খুঁজছি হাতড়ে হাতড়ে
রাজনীতির দলগুলোকে দেখি
নেমে পড়েছে আসরে।
একটি মেয়ে দিল ডাক
জানাল বিচারের দাবী
প্রতিবাদে মেয়েরা করবে রাস্তা দখল
যে কেউ হতে পারে তাদের সাথী।
আমি যাব
প্রতিবাদে রাস্তায় হাঁটব
অশক্ত শরীর হবে না বাধা
দোষীদের ফাঁসীতে ঝোলাব।
চোদ্দ আগস্টের রাতে
জমায়েত হয়েছি 'পাওয়ার হাউসে'
আমায় দেখে মেয়েরা উদ্বেলিত
জেঠুও হাঁটবে তাদের সাথে।
বাংলা জেগেছে
বাংলার নারীরা খুনের বিচারে
মাঝরাতেতে হাঁটছে,
আমিও হাঁটছি ছোটদের সাথে অন্ধকারে
নিশীথ রাতে
একটাই দাবী
ধর্ষক খুনীদের শাস্তি দিতে হবে।
মুখে নেই ভয়ঙ্করী শ্লোগান নেই কোনো উচ্ছ্বাস
দীর্ষশ্বাস, চাপা স্বর,
শান্ত মিছিল প্রতিবাদী মিছিল
জেগে আছে হাওড়া শহর।
এত রাতেও হাঁটছি আমি
ভুলে গেছি শরীরের কথা
যে যন্ত্রণা পেয়েছিল আমাদের মেয়েটা
তার থেকেও কী বেশী আমার শরীরের ব্যথা?
হাঁটা শেষে বসে আছি
জেঠু, চলো বাড়ি,
আকাশের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে
মেয়েটাকে যেন বিচার দিতে পারি।