Photo by mansi shah on Unsplash
16 Jun,
আজ আমার জন্মদিন। হাতে বিশেষ কাজ নেই, সকাল থেকে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে,
আমি বৈঠকখানায় আমার আরাম কেদারায় বসে আকাশ পাতাল ভাবছি। এবং বৃদ্ধ নিউটন প্রতিদিনের মতন আজও কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে।
এই কথাগুলোই তিনি নোটবুকে লিখে বসেছিলেন। আর তার জীবনের শেষ মাঝরাতের অপেক্ষায় লীন হয়েছিলেন। তখনই দরজায় জোরে কড়া শব্দ পেলেন তিনি।
'প্রফেসর','প্রফেসর'
'আপনি বাড়িতে আছেন'
শব্দটা পেয়ে তিনি অতি ধীর গতিতে তিনি দরজায় পৌঁছায়। এবং দরজাটা খুলতেই তিনি দেখতে পেলেন প্রায় ৫.৮ ফুটের মতো লম্বা এক যুবক দাঁড়িয়ে।
'নমস্কার', 'প্রফেসর এিলোকেশ্বর শঙ্কু'।
'আমি এডলফ গোয়রিং'।
'আপনি মনে হয় জার্মান বাসী তা সত্ত্বেও এত ভালো বাংলা বলতে পারেন'।
'আমি বাংলা ছাড়া ভারতের আরও ১৪ টি ভাষা বলতে সক্ষম। এছাড়াও বাংলা এত মিষ্টি এত অসাধারণ ভাষা না শিখে পারলাম না। এছাড়া আমি এই বাঙ্গালী বীরের সঙ্গে দেখা করে বাংলা ভাষার প্রেমে পড়ে যাই'।
'আপনার আমার কাছে আসার কারণ কি জানতে পারি'।
'আপনি আমাকে আপনার বাড়ির ভেতরে ঢুকতে বলবে না'।
হ্যাঁ,' অবশ্যই আসো'।
(উভয় ব্যক্তির ঘরের সোফাটায় বসলেন)
'আসলেই অনেক কিছু আছে যা শেষ হয়েও হয় না'।
'আপনার এখানে আসার উদ্দেশ্য কি জানতে পারি দয়া করে'।
'অবশ্যই প্রফেসর শঙ্কু'
বৃদ্ধ প্রফেসর শঙ্কুর মাঝ বয়সী এই লোকটি অল্প গোপ এবং আচার-আচরণ অদ্ভুত লাগলো। তার মনে হল তিনি হয়তো কোন বিজ্ঞানী বা ব্যবসায়ী।
'প্রফেসর আপনি একজন বিজ্ঞানী। আপনি সারা জীবন বিজ্ঞান ছাড়াও নানা আবিষ্কার এবং নানান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন'।
'হুম কিন্তু'
'আমি আপনার আমাকে নিয়ে সমস্ত সংশয় দূর করব'।
'তার আগে আপনি একটা ছোট্ট উপহার নিন'।
'শুভ জন্মদিন'
'কি এটা'?
'একটা বিশেষ পাথরের আংটি'।
প্রফেসর শঙ্কু বলেই ফেললেন আপনি এই বৃদ্ধ শঙ্কুর ব্যাপারে এত কিছু কিভাবে জানলেন?
'আমি বলব তার আগে একটা কথা বলুন আপনি Multi universe বা Time Travel ব্যাপারে কি বিশ্বাস করেন'।
'হ্যাঁ', 'এই ব্যাপারে অল্পস্বল্প খুঁটিনাটি কিছু ধারণা আছে আমার'।
ভালো, 'তাহলে আমি যা বলছি, একটু মন দিয়ে শুনুন'।
'আসলে আমি 2029 সাল থেকে Time Travel করে এখন এই সময় এসেছি। দেখুন আমাদের বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে অসংখ্য ইউনিভার্স আছে এবং সব universe সময়ের পার্থক্য রয়েছে এমনকি নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে'।
'এমন universe ও আছে যা এখন থেকে 75 বছর আগে এর থেকে এমন কি করতে 75 বছর পরেও অবস্থান করে'।
'আচ্ছা আমি আরো কিছু এর সম্বন্ধে বলো তার আগে আপনি এই যন্ত্রের দ্বারা এই ভিডিওটা একটু দেখুন -
প্রফেসর চৌকো আকৃতির এক অদ্ভুত যন্ত্রের দ্বারা এক ঝলক দেখেই চোখ ফিরিয়ে নিয়ে কারণ এত মৃতদেহ এর আগে দেখেনি তিনি।
অ্যাডলফ, 'কি এটা শিগগিরই বল আমায়'।
'আসলে এটা ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আগত এক ভয়ঙ্কর ভাইরাস । যা ২০১৯ সালে চীন থেকে এই ভাইরাস সারাবিশ্বে হত্যালীলা চালাচ্ছে'। যার নাম COVID - 19
'এবং আমি এক পুরনো ব্রিটিশ সংবাদপত্র থেকে আপনার এই মিরাকিউলার ব্যাপারটি জানতে পারি। তাই আপনি হয়তো বুঝতেই পারছেন আমি এই মিরাকিউলার বা সর্বরোগনাশকারী নামক ওষুধ ওষুধটি আপনার থেকে নিতে এসেছি। যদি আপনি দেন তাহলে ভবিষ্যতে সমগ্র বিশ্বের লোককে বাঁচাতে পারি'।
'এবং COVID - 19 এই রোগের কোন ভ্যাকসিনও আবিষ্কার হয়নি'।
'দেখো ADLOF তুমি কোথা থেকে কিভাবে কেমন করে এসেছ তা আমার জানা নেই। কিন্তু তুমি আমার ব্যাপারে এত কিছু জানো'।
'তাই আমি বিশ্বাস করে তোমাকে দিলাম'।
তৎক্ষণাৎ প্রফেসর তার মালিকের কয়েকটা স্বর্ণপর্ণী গাছ তুলে দিতে বললেন এবং তিনি কয়েকটা মিরাকিউলার বড়ি দিলেন তাকে।
'ধন্যবাদ প্রফেসর শঙ্কু'।
আমি এই ঔষধের কৃতিত্ব আমি একা নিজে কখনোই নেব না বরং আমি এই কৃতিত্ব দেব তিনজন ব্যক্তি কে। ত্রিলোকেশ্বর , ত্রিপুরেশ্বর, টিকরি বাবা।
কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে? তুমি কিভাবে সমগ্র বিশ্বকে সামান্য মিয়াকিউলোর দিয়ে বাঁচাবে?
আমি আরো universe যাব যেখানে এবং আপনার অস্তিত্ব রয়েছে।
"ধন্যবাদ "
এই বলেই অ্যাডলফ একটা পোর্টাল খুলে তার মধ্যে প্রায় অদৃশ্যই হয়ে গেল।
Mid credit part of story -
এক সপ্তাহ পর
আমি অ্যাডলফ কে কয়েকটা মিরাকুলার দিয়ে তো দিলাম তার সঙ্গে স্বর্ণপর্ণীয় ও । কিন্তু কেন জানিনা আমার মনটা সায় দিচ্ছে না।
Post Credit Part Of Story -
আরো একমাস পর
প্রফেসর শঙ্কু আরামকেদারায় বসে তিনি কিছু লিখছিলেন। তখন ই দরজায় জোরে ধাক্কা শব্দ পেয়ে তিনি প্রায় ছুটে গেলেন। তিনি দরজা খুলে দেখলেন
কিছু অদ্ভুত পোশাক পড়া একদম লোক এবং তাদের হাতে অদ্ভুত কিছু যন্ত্র। এবং তাদের বলা ভাষা বুঝতে না পারে তিনি তার লিঙ্গুয়াগ্ৰাফ
যন্ত্রের প্রয়োগের ধারা বুঝতে পারেন। যে তারা বলছে-
Hey Sanku, we are from TBA. And We want to arrest you. Because, you help AHC00135.
TO BE CONTINUE...