মেক্সিকোর শহরের কেন্দ্রে জনতার ঢল—যারা সবাই একই দাবি নিয়ে একজোট: নিরাপত্তা, ন্যায় ও তাদের ভবিষ্যতের অধিকার। রাস্তায় লাল, হলুদ, নীল রঙের ব্যানার হাতে ছুটে চলেছে একদল তরুণ। তাদের চোখে আগুন, মুখে অনড় সংকল্প, আর অন্তরে বদলের বাণী। এই তরুণেরা হচ্ছেন Gen Z—সেই প্রজন্ম যারা প্রযুক্তির যুগে বেড়ে উঠেছে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের কথা বলার সাহস পেয়েছে।
Gen Z শুধুমাত্র সংখ্যায় বড় নয়, তারা সমাজের ভাবমূর্তিকেও বদলাতে সক্ষম এমন শক্তি নিয়ে এসেছে। তারা জানে, তারা তাদের অধিকার নিয়ে নীরব থাকতে পারে না। তাদের প্রতিবাদের গুরুত্ব তাই শুধুমাত্র মেক্সিকোর নয়, গ্লোবাল প্রজেক্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজকের এই প্রতিবাদ শুধু একটি বিক্ষোভ নয়, এটি একটি সামাজিক বার্তা—যে বার্তা জানাচ্ছে, নতুন প্রজন্ম আর পুরনো অযথা দমনে বিশ্বাসী নয়। এই লেখায় আমি আলোচনা করব কেন মেক্সিকোর Gen Z-এর প্রতিবাদ এত গুরুত্বপূর্ণ, তাদের প্রেরণা কী, এবং তারা কীভাবে দেশ ও সমাজে নতুন এক পরিবর্তনের সূচনা করতে চায়।
মেক্সিকোর রাস্তায় যে তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়েছে Gen Z-দের এই বিশাল প্রতিবাদ, তার শিকড় লুকিয়ে রয়েছে শুধু কোনো একটি ঘটনার মধ্যে নয়; বরং বহুদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ, উদ্বেগ ও বঞ্চনার অভিজ্ঞতার ভেতরে। কিন্তু ঠিক কী এমন ঘটল যে এই তরুণ প্রজন্ম আর নীরব থাকতে পারল না?
মেক্সিকোতে Gen Z-দের যে তীব্র প্রতিবাদ আজ বিশ্বদৃষ্টি কাড়ছে, তার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: সরকারি সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতার অভাব এবং জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করার প্রবণতা। অনেকেই ভাবতে পারেন, স্বচ্ছতা না থাকাটাই বা এমন কী যে লাখো তরুণ রাস্তায় নেমে গেল? কিন্তু সংকটটা এর চেয়ে অনেক গভীর।
Gen Z দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে রাষ্ট্রের প্রতিটি সিদ্ধান্তের ভিত্তি হওয়া উচিত জনগণের স্বার্থ। অথচ বাস্তবে তারা বারবার দেখতে পাচ্ছে—বড় প্রকল্প, সরকারি বাজেট, উন্নয়ন পরিকল্পনা বা পর্যাপ্ত ব্যাখ্যা ছাড়া ঘোষিত হঠাৎ নীতি পরিবর্তন; এসবের পেছনে থাকে গোষ্ঠীগত লাভ, রাজনৈতিক স্বার্থ বা অঘোষিত অর্থনৈতিক চাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত। এই তরুণ প্রজন্ম এমন এক সময়ে বড় হয়েছে, যখন তথ্য পাওয়াটা অস্বাভাবিক সহজ; তারা জানে কীভাবে সরকার কাজ করে, কীভাবে লুকানো তথ্য জনজীবনে প্রভাব ফেলে, এবং কীভাবে কিছু সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপর দীর্ঘমেয়াদে বিপর্যস্ত প্রভাব আনতে পারে।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো—সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় তাদের জীবনকে কেন্দ্র করে, অথচ তাদের মতামত একবারও জিজ্ঞেস করা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বাড়ানো, পরিবেশ ধ্বংস করে নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন, গণপরিবহন নীতিতে বিপর্যয়—সবকিছুই এমনভাবে ঘটে যেন তারা অদৃশ্য এক জনগোষ্ঠী। Gen Z মনে করে, এটা শুধুই প্রশাসনিক দুর্বলতা নয়—বরং তাদের নাগরিকত্বকে অবমূল্যায়ন করা।
আরেকটি বিষয় তাদের ক্ষোভকে আরও জোরালো করেছে—সরকারের জবাবদিহিহীনতা। কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চাইলে হয় নীরবতা, নয়তো অস্পষ্ট সরকারি বিবৃতি। ফলে তাদের মনে জন্মেছে একটাই প্রশ্ন:
“যাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তাদেরকেই যদি আলোচনায় স্থান না দেওয়া হয়—এই ব্যবস্থা আসলে কার?”
এই প্রশ্নটিই তাদের রাস্তায় নামিয়েছে।
Gen Z-দের কাছে স্বচ্ছতা শুধু রাজনৈতিক আদর্শ নয়—এটা তাদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর উপায়। তারা ভয় পায়, অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় আনবে—অর্থনৈতিক ক্ষতি, পরিবেশগত বিপদ, সামাজিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা। তাই তারা মনে করে, এখনই যদি প্রতিরোধ না করা যায়, তাহলে একসময় আর দাঁড়ানোর সুযোগ থাকবে না।
এ কারণেই তারা এই আন্দোলনকে দেখে বেঁচে থাকার লড়াই হিসেবে—এমন এক লড়াই, যেখানে প্রজন্মের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তারা বার্তা দিয়েছে:
“তথ্য লুকিয়ে রেখে দেশ চলতে পারে না। আমাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত আমাদের ছাড়া নেওয়া যাবে না।”
স্বচ্ছতার এই প্রশ্নই আজ মেক্সিকোর রাস্তায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে—এবং Gen Z প্রমাণ করেছে, তাদের নীরবতার যুগ শেষ।
মেক্সিকোর রাস্তায় আজকে যারা সবচেয়ে জোরে স্লোগান তুলছে, তারা কেবল রাগ নিয়ে নয়—বরং এক ধরনের গভীর বিশ্বাসঘাতকতার বেদনা নিয়ে এসেছে। আর সেই বিশ্বাসঘাতকতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মেয়র কার্লোস মানজো। প্রশ্ন জাগে: একজন স্থানীয় মেয়রকে ঘিরে কীভাবে পুরো একটি প্রজন্মের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হতে পারে?
উত্তরটি বুঝতে গেলে জানতে হবে—Gen Z শুধু অস্থির নয়; তারা রাজনৈতিক স্মৃতিশক্তির দিক থেকে সবচেয়ে তীক্ষ্ণ প্রজন্ম।
দুই–তিন বছর আগেও মানজোকে তরুণদের কাছে একজন “পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতিদাতা” হিসেবে দেখা হত। তিনি বলেছিলেন—
“স্বচ্ছ প্রশাসন”,
“দুর্নীতি দমন”,
“স্থানীয় উন্নয়নে যুব নেতৃত্বের অংশগ্রহণ”,
এবং
“ডিজিটাল স্বচ্ছতা”।
এসব শুনে Gen Z সত্যিই বিশ্বাস করেছিল—এবার হয়তো অন্যরকম কিছু ঘটবে।
কিন্তু বাস্তবতা ছিল ঠিক উল্টো।
মানজো প্রশাসনের বিরুদ্ধে যতদিন গেছে, ততই বেড়েছে দুর্নীতি, তহবিল আত্মসাত, অস্বচ্ছ চুক্তি এবং “বন্ধু–স্বজন রাজনীতি”-র অভিযোগ। স্থানীয় উন্নয়নের নামে যে তহবিল বরাদ্দ হয়েছিল, তার বাস্তব চিত্র মাঠে দেখা যায়নি।
Gen Z—যারা ইন্টারনেট, ডেটা এবং স্বচ্ছতার সংস্কৃতিতে বড় হয়েছে—এদের কাছে এসব লুকানো কঠিন। তারা নিজেরাই ডকুমেন্ট টেনে এনেছে, বাজেট মিলিয়ে দেখেছে, চুক্তির হিসাব তুলনা করেছে এবং সন্দেহগুলো সত্যি বলে মনে হয়েছে।
এরপর আসে সেই ঘটনাটি, যা তরুণদের মনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়—
মেয়র মানজো আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে বরং পুলিশি শক্তি ব্যবহার করে আন্দোলন দমন করতে চান।
এটাই ছিল চূড়ান্ত ভুল।
Gen Z সেই প্রজন্ম যারা বিশ্বাস করে—
“Power should listen, not suppress.”
তাদের কণ্ঠস্বর চাপা পড়ে গেলে তারা রাস্তায় নেমে আসে—এবং ঠিক তাই হয়েছে।
ডিজিটাল প্রমাণ ছড়িয়ে পড়া: আন্দোলনের গতি দ্বিগুণ
সামাজিক মাধ্যমে মানজোর বিরুদ্ধে ভিডিও, দুর্নীতির অভিযোগ, পুলিশি শক্তি ব্যবহার—সবই ভাইরাল হয়ে যায়। Gen Z শুধু প্রতিবাদ করেনি—তারা প্রতিটি তথ্য ডকুমেন্ট করেছে, প্রতিটি অন্যায় ক্লিপ করেছে, প্রতিটি ঘটনাই লাইভস্ট্রিম করেছে।
একদিকে পুলিশের লাঠিচার্জ—
অন্যদিকে টিকটক–টুইটারে তুমুল জনরোষ।
এক মুহূর্তেই স্থানীয় ঘটনা জাতীয় আলোচনায় উঠে আসে।
কারণ তারা মনে করেছে—
তাদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে,
তাদের ভবিষ্যৎ লুট হয়েছে,
তাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে,
এবং তাদের প্রতি প্রশাসন অবজ্ঞা দেখিয়েছে।
Gen Z কারো বিরুদ্ধে কেবল রাগ করে না—তারা ন্যায়বিচার দাবি করে।
এবং কার্লোস মানজো সেই অন্যায়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
সংক্ষেপে, মানজোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ কোনো হঠাৎ জন্মানো অনুভূতি নয়।
এটি বহু বছরের জমে থাকা হতাশা, ভাঙা বিশ্বাস, এবং দমনমূলক আচরণের
প্রতিক্রিয়া।
এ কারণেই মেক্সিকোর Gen Z আন্দোলনে মেয়র কার্লোস মানজো একটি কেন্দ্রীয় “ক্যাটালিস্ট”—একটি এমন স্ফুলিঙ্গ, যা পুরো তরুণ সমাজকে জ্বালিয়ে তুলেছে।
মেক্সিকোর Gen Z যখন রাস্তায় নেমেছে, তখন সেটা শুধুই রাগের বিস্ফোরণ ছিল না; বরং একটি পর্দা সরিয়ে দেওয়া ছিল। সেই পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিল এমন কিছু অন্ধকার প্রশাসনিক সত্য, যা সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অনুভব করছিলেন, কিন্তু স্পষ্টভাবে দেখাতে পারছিলেন না।
প্রতিবাদ যখন বড় হতে শুরু করল, সাংবাদিক, গবেষক, মানবাধিকার সংগঠন সবাই মাঠে নেমে তথ্য খুঁজতে লাগল। তখনই বেরিয়ে আসতে শুরু করল দুর্নীতির স্তর–স্তর নথি।
প্রতিবাদের সময় প্রকাশ পায় যে গত তিন বছরে স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বিপুল পরিমাণ অর্থের কোনো স্বচ্ছ হিসাব নেই।
রাস্তা সংস্কার, যুব কর্মসংস্থান কেন্দ্র, স্কুল উন্নয়ন—এমন অন্তত ১২টি প্রকল্পের কাগজে বরাদ্দ আছে, কিন্তু বাস্তবে নেই।
Gen Z মাঠে গিয়ে যে দৃশ্য পেয়েছে, তা ছিল ভয়াবহ:
মানুষ ভাবতে শুরু করল— এই টাকা কি সত্যিই উন্নয়নে গেছে, নাকি কারও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে?
প্রতিবাদের পর প্রকাশ হওয়া আরেক বড় তথ্য হলো—বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পে একই গোষ্ঠীর ৪–৫টি কোম্পানি বারবার চুক্তি পাচ্ছে।
আরও ভয়াবহ হলো—
এই কোম্পানিগুলোর অনেকগুলোর ঠিকানাই নেই, কর্মচারী নেই, সার্ভিস নেই।
এগুলো আসলে পেপার কোম্পানি, যেগুলো মেয়র মানজোর ঘনিষ্ঠদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
কিছু সাংবাদিক যখন কোম্পানিগুলো অনুসন্ধান করে, দেখা যায় একটি কোম্পানির ঠিকানা ছিল একটি ছোট চায়ের দোকান, আরেকটির মালিক একজন ট্যাক্সিচালক—যে নিজেই জানত না তার নামে কোটি টাকার কন্ট্রাক্ট চলছে।
যখন Gen Z কিছু নথি প্রকাশ করা শুরু করল, ঠিক তখনই মেয়রের অফিস আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ পাঠায়।
কেন?
কারণ তারা জানত—এই নথি বাইরে গেলে প্রশাসন অচল হয়ে পড়বে।
তরুণরা প্রতিবাদে বলছিল—
“We are not fighting the mayor. We are fighting the corruption he protects.”
Gen Z তদন্ত করে যে তথ্যগুলো বের করেছে, তা ভাইরাল হওয়ার পর বাধ্য হয়ে মানবাধিকার কমিশন, কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাও তদন্ত শুরু করেছে।
এসব তদন্তে দেখা গেছে—
তাহলে প্রতিবাদ কী শেখাল?
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো—
দুর্নীতি তখনই প্রকাশ পায়, যখন কোনও প্রজন্ম সত্যিই জানতে চায়—“কোথা থেকে টাকা আসে, কোথায় যায়, আর কেন যায়?”
এবং Gen Z সেটা করে দেখিয়েছে।
Gen Z আন্দোলন: মেক্সিকোর ভবিষ্যতের দরজায় এক নতুন কড়া-নাড়া
মেক্সিকোর সাম্প্রতিক Gen Z আন্দোলন আমাদের সামনে এক গুরুত্বপূর্ণ বাস্তবতা তুলে ধরে—যুবসমাজ আর নীরব দর্শক নয়। তারা প্রশ্ন করে, তারা জবাব চায়, এবং প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে ন্যায়ের দাবি তোলে। মেয়র কার্লোস মানজোর হত্যাকাণ্ড সেই দাবিকে আগুনের মতো ছড়িয়ে দিয়েছে, কারণ এটি কেবল একজন নেতার মৃত্যু নয়; এটি দেশের রাজনৈতিক দুর্নীতি ও অপরাধচক্রের মুখোশ খুলে দিয়েছে।
এই আন্দোলনের শক্তি ছিল তাদের সততা, তাদের স্পষ্ট দাবি, আর তাদের বিশ্বাস—দেশ বদলানো সম্ভব। সরকার কিছু প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, কিছু সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন, আবার অনেক প্রতিশ্রুতি এখনো কাগজে-কলমেই রয়েছে। কিন্তু একটি বিষয় নিশ্চিত: এই আন্দোলন পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছে। প্রশাসন, মিডিয়া, সমাজ—সবাই বাধ্য হয়েছে আলোচনায় বসতে।
তবুও সত্য এটাই—একটি প্রতিবাদ রাতারাতি রাজনীতি বদলে দিতে পারে না। দুর্নীতির কাঠামো বহু বছরের, অপরাধচক্র গভীর-শিকড়, আর রাজনীতির স্বার্থজাল অত্যন্ত জটিল। তাই পরিবর্তন শুরু হয়েছে, কিন্তু শেষ হয়নি। Gen Z আন্দোলন যেন নদীর প্রথম ঢেউ—যা পাথরকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করে পথ তৈরি করে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই আন্দোলন প্রমাণ করলো:
পরিবর্তন তখনই শুরু হয়, যখন যুবসমাজ প্রশ্ন করে—“আমরা কি আর চুপ করে থাকব?”
মেক্সিকোর Gen Z সেই প্রশ্ন করেছে, আর তাদের কণ্ঠস্বর শুধু আজকের জন্য নয়—আগামী প্রজন্মের জন্যও।
এই আন্দোলন মেক্সিকোর সমস্যার সমাধান করে ফেলেনি, কিন্তু এটি ভবিষ্যতের সমাধানের দরজা খুলে দিয়েছে।
আর একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ঠিক এভাবই গড়ে ওঠে—একটি প্রশ্ন, একটি প্রতিবাদ, একটি সাহসী কণ্ঠ থেকে।