Photo by The Dancing Rain on Unsplash
আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামের উপর একটি কিতাব/বই নাযিল হয়েছে । যার নাম হল কুরআন । এই কুরআন নাবী ও নাবীর উম্মতের মানে আমাদের উপর নাযিল করা হয়েছে। এটি হল একটি আসমানি কিতাব। এই আসমানি কিতাব যেটি আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের জন্য দেন ‘ যেটা থেকে তারা খারাপ ও কুকর্ম থেকে দূরে থাকে ।আল্লাহ তায়ালা আর কিছু আসমানি কিতাব নাযিল করেছেন । যেমন তাওরাত আসমানি কিতাব যেটা হযরত মুসা আলাইহিসালামের উপর নাযিল হয়েছে। তেমনই ইঞ্জিল আসমানি কিতাব যেটা হযরত ঈসা আলাইহিসালামের উপর নাযিল হয়েছে। এবং যাবুর আসমানি কিতাব যেটা হযরত দাউদ আলাইহিসালামের উপর নাযিল হয়েছে। তেমনই আল্লাহ তায়ালা কুরআন আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন । কিন্তু কিছু কিছু খারাপ মানুষ এই দুনিয়াতে বসবাস করিতেছে;যারা আল্লাহর কিছু আসমানি কিতাব কে পরিবর্তন করে দিয়েছিল, তার ফলে মানুষ খারাপ ও কুকর্মের দিকে চলে যায়। তার পরে আল্লাহ তায়ালা আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামের উপর কুরআন আসমানি কিতাব নাযিল করিলেন। এবং সেই কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন’’ কোন মানুষ এই কুরআনের একটি হুরুফ ও কোন দিন কেউ পরিবর্তন করিতে পারেনি ‘ এবং ভবিষ্যতে আর কোন দিন ও পরিবর্তন করিতে পারিবে না। এবং এটি জিবরাঈল আলাইহিসালামের দ্বারা আল্লাহ তায়ালা আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম উপর নাযিল করা হয়েছে। এবং এই কুরআন এর মত একটি কিতাব কোন দিন হয়নি, এবং ভবিষ্যতে আর কোন দিন হবেনা।
আমরা সবাই জানি এই দুইয়াতে অনেক মানুষ বসবাস করিতেছে” তাদের মধ্যে অনেক মানুষ জ্ঞানী এবং অনেক মানুষ অজ্ঞানী মানে অনেক মানুষ আছে যারা শিক্ষা জানে, এবং অনেক মানুষ আছে যারা শিক্ষা জানে না। কিন্তু আমাদের শিক্ষা জানা অনেক প্রয়োজন’’ কারনঃ কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কুরআন পড়তে জানে না ‘ তবুও তারা কুরআন পড়ার চেষ্টা করে -এবং নেকি অর্জন করে।এবং কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কুরআন পড়তে জানে, এবং বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করে কেননা; এই কুরআনের যদি আমরা একটি হুরুফ পড়ি তাহলে আমরা সেই একটি হুরুফের বদলে দশ নেকি করে অর্জন করিতে পারি।যেমন’’ আমরা যদি কুরআন পড়তে যায় তবে আমরা সর্ব প্রথম বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ি। তাহলে আমরা এই বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে আমরা একশত ওর বেশি নেকি অর্জন করতে পারি। এবং সূরা বাকারার প্রথম আয়াত আলিফ,লাম,মীম এই তিনটি হুরুফ পড়ে আমরা তিরিশটি নেকি অর্জন করতে পারি। ।তাহলে আমরা কেন বেশি বেশি কুরআনকে পড়ার চেষ্টা করতে পারিনা ।তাহলে আমরা এখান থেকে বুঝতে পারলাম ‘’আমাদের বেশি বেশি কুরআনকে পড়ার চেষ্টা করতে হবে; এবং ’আমাদের বেশি বেশি নেকি অর্জন করার চেষ্টা করতে হবে।এবং এই কুরআনে সমস্ত কিছুর বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। যাতে এই কুরআন নিয়ে মানুষের মধ্যে বিবাদ না হয়। এবং আমরা সবাই জানি যে এই কুরআন’ আমাদের মধ্যে সব থেকে ফজিলতময় কিতাব।
এই কুরআনটি শরীয়তের এবং দ্বীনে ইসলামের জন্যে নাযিল করা হয়েছে। এই কুরআনটি মানুষের হেদায়েত এবং সৎ পথ দেখার জন্যে নাযিল করা হয়েছে। এবং যারা অন্ধকার রাস্তায় এবং পাপের সাগরের মধ্যে ডুবে রয়েছে’ তাদের কে এই কুরআন হেদায়েত দেন। এবং যারা অন্ধকার রাস্তায় এবং পাপের সাগরের মধ্যে ডুবে রয়েছে’ তাদের কে এই কুরআন সেই পাপের সাগরের তুলে নেকির পাহাড়ে পরিণত করে দেয়। এই কুরআনটি যে বাক্তি তেলায়ত করল সেই বাক্তির তেলায়তের ফলে কুরআনটি কেয়ামতের দিনে সেই বাক্তির জন্যে শাফায়ত চাইবে। এবং সেই বাক্তি এই কুরআন যত পরিমাণ তেলায়ত করবে’ জান্নাতে সেই বাক্তি এই কুরআন থেকে তত পরিমাণ শাফায়ত পাইবে । এই কুরআন হল মানুষের সবথেকে ঔষধ । । এবং আল্লাহ তায়ালা এই কুরআনে বলে দিয়েছেন:
ننزل من القرآن ما هو شفاء ورحمة للمؤمنين
অর্থাৎ: এই কুরআন কে নাযিল করা হয়েছে’ মুমিনদের শিফা এবং রহমতের জন্যে, এবং আল্লাহ তায়ালা এই কুরআনে আরও বলে দিয়েছেন:
قل هو للذين آمنوا هدى وشفاء
অর্থাৎ: এই কুরআন মুমিনদের জন্যে সৎ পথ এবং শিফা দেয়।
তাহলে আমরা এখান থেকে বুঝতে পারলাম আমাদের এই কুরআনকে বেশি বেশি করে তেলায়ত করা উচিত।
জাহিলিয়াতের জামানাই হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) ছিলেন কাফিরদের সর্দার । হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) আমাদের নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার জন্যে বাড়ি থেকে বার হলেন‘ যাবার পথে একটি মানুষের সাথে দেখা হয় সেই মানুষটি জিজ্ঞাসা করলেন? হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) কোথায় যাচ্ছেন’ হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) বললেন আমি নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার জন্যে বাড়ি থেকে বার হয়েছি। তখন সেই মানুষটি হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) কে বললেন’ আগে তোমার বোনের বাড়ি গিয়ে দেখো তারপর তুমি নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার জন্যে যাবে । হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) তার বোনের বাড়ি গিয়ে দেখেন’ একটি সুন্দর সুর তার বোনের বাড়ি থেকে আসছে । সে তার বোনের বাড়ি গিয়ে দেখলো; তার বোন কুরআন তেলায়ত করছে এবং ইসলাম গ্রহণ করে নিয়েছে। তখন সে নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে গিয়ে এ নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আপনাকে হত্যা করার জন্যে বাড়ি থেকে বার হয়েছি । কিন্তু আমি কুরআন শুনে ইসলাম গ্রহণ করতে চায়। এবং হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু আ-নহু) ইসলাম গ্রহণ করলেন।
আমাদের এই কুরানে মোট তিরিশটি পারাহ আছে। এবং আমাদের এই কুরানে মোট ১১৪ টি সূরা আছে। এবং আমাদের এই কুরানে মোট ৫৪০ রুকু আছে। এবং আমাদের এই কুরানে সবথেকে বড় সূরার নাম হল সূরা বাকারা। এবং আমাদের এই কুরানে সবথেকে ছোট সূরার নাম হল সূরা কাওসার। যখন আমাদের এই কুরআন নাযিল হওয়া শুরু হয়’ তখন নাবী সাল্লাহুয়ালাইহি ওয়াসাল্লামের বয়স ছিল ৪০ বছর ১১ দিন। এবং আমাদের এই কুরান মাক্কায় মোট ১৩ বছর নাযিল হয়। এবং আমাদের এই কুরান মাদিনায় মোট ১০ বছর নাযিল হয়। মোট ২৩ বছর এই কুরআন নাযিল হয়। এটি অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয় শুক্রবারের দিন। এটি অবতীর্ণ হওয়া শেষ হয় ২২ বছর ৫ মাস ১৪ দিনে। এবং আমাদের এই কুরান মোট আয়াত আছে ৬৬৬৬ টি । এবং আমাদের এই কুরান মোট শব্দ আছে ৮৬৪৩০ টি । তাই আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করি যেন আমাদের এই কুরান বেশি বেশি করে তেলায়ত করার এবং সৎ পথে নিয়ে চলার তৌফিক দান করুন’ আমিন।