Image by Mohamed Hassan from Pixabay

ভব সমুদ্র মন্থনে লক্ষ্মী অমৃত ইত্যাদি উঠেছিল । এটাই প্রথম স্তর । এটি যোগমায়ার মন্থন ।পরে বিষ উঠেছিল - বিষই বিষয় ।এই বিষকে পান করেন শিব । শিব মানে - আকাশ অচল স্থির । এটি মায়ার মন্থন ।এই সব জিবে কাম জাগে বলে এখন থেকে পতন হয় ।

যার একুল আছে তার অকুলও আছে ,- দুই কুলই আছে । যার কুল নাই সে অকুল । অকূলে তরঙ্গ নেই -। কুল থাকলে তরঙ্গ অবশ্যম্ভাবী ।

ব্রজে সমর্থারতি, দ্বারকায় সমঞ্জসা , মথুরায় সাধারণী ।

পুরুষ মানে চেষ্টা বা পৌরুষ । প্রকৃতি মানে স্বভাব । চেষ্টা স্বভাবে মিলিত হলে তখন চেষ্টা থাকে না । তাই স্বভাব প্রাপ্তিকেই যুগল- মিলন বলে । এটাই প্রকৃতি ও পুরুষের মিলন ।

শ্রীকৃষ্ণ - মধ্যে - , রাধা - বামে - যিনি লীলা শক্তি । এর থেকেই অর্থাৎ বাম অঙ্গ থেকেই লীলার প্রসার হয় । রাম ( বলরাম )- দক্ষিণে , যিনি ক্রিয়া বা খেলার শক্তি । এর থেকে সৃর্ষ্টি প্রভৃতির প্রসার হয় ।

সখীতে ও মঞ্জরীতে কিঞ্চিৎ ভেদ আছে ।সখীতে ইচ্ছা আছে - যুগল সেবা অর্থাৎ রাধা - কৃষ্ণের মিলন সম্পাদন ও তৃপ্তি সাধন বিষয়ে সখীতে ইচ্ছা জন্মায় । যুগলের ইচ্ছাই সখীদের ইচ্ছা । মঞ্জরীদের ইচ্ছা নেই । মঞ্জরীরা সঙ্গে সঙ্গেই থাকে । রূপ মঞ্জরী প্রভৃতি বহু মঞ্জরী আছে । এরা সকলেই অচ্ছেদ্য অর্থাৎ ছেড়ে থাকতে পারে না ।

সহ্য করে যেতে হয় - প্রবৃত্তি , কাম , লোভ প্রভৃতির বেগ সয়ে থাকতে হয় । তাকে প্রশ্রয় দিতে নেই । একটা জিনিষ ধরে সহ্য করে যেতে হয় । তা হলে এগুলি আপনিই নষ্ট হয়ে যায় , এদের প্রত্যেকের সীমা আছে । সীমা থাকলেই ক্ষয় হওয়া স্বাভাবিক । একেই প্রারব্ধের ভোগ বলে ।

এটিই - " যদৃচ্ছা - লাভ - সন্তুষ্ট দ্বন্দ্বাতীত " অবস্থা ।

অনন্ত হতে নিত্য , নব নব জীব বার হচ্ছে আবার তাতেই ঢুকে পড়ছে । এই সংকোচ প্রসারের ব্যাপারটি ঠিক শ্বাস প্রশ্বাসে মতন ।এই সব বীজভূত জীব নানা জাতীয় । বাইরে বের হয়েই তারা মায়া- বায়ুর তাড়নায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে । যেমন ঘূর্ণিবায়ুতে ধুলা , বালি , বৃক্ষের পাতা প্রভৃতি ইতস্ততঃ সঞ্চালিত হয় , এটাও একপ্রকার সেইরকম । এই বীজগুলি সং কর্ষণ অর্থাৎ সমষ্টি হতে স্বজাতীয় স্থূল ভাবের উৎপত্তি । এগুলি একাকী কাজ করে না , অন্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে কর্ম করে । এরা নিজের মতো আবরণ গ্রহণ করে । স্বজাতীয় প্রাধান্য থাকলে তারই বিকাশ হয় । মায়াবায়ুর তাড়নায় এই সব জীব চারদিকে বিক্ষিপ্ত । এগুলি সবই নিত্য ভাবরাশির অন্তর্গত । এদের ধ্বংস নেই । যখন এদের ধ্বংস হবে তখন জগতের কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না ।স্থূলদেহী জীব এদের উপাসনা করে থাকে ও তদনুসারে ফললাভ করে । এদের নাম কাম্য কর্ম্ম । কামনা না থাকলে , ইচ্ছা না থাকলে , অর্থাৎ ইচ্ছা শূন্য রাখলে , সংকোচ - প্রসারের মন্ডল থাকে না । মন্ডলের বাইরে নানাপ্রকার চক্র আছে । তাদের যোগ বিয়োগ নানা প্রকার লীলা সংগঠিত হয় ।

স্থির বায়ু অচল , সমভাব , মিত্রভাব । অবয়ব দেহ , আত্মা নিরবয়ব । চারিদিকে যা কিছু দেখি সবই দেহ । ঘটের মধ্যে আকাশ ভাবলেই তাহা খন্ড আকাশ , তাহা সীমাবদ্ধ । তখন জানি আকাশ ঘটে ভিতরে - বাইরে আছে তখন আকাশ অসীম ,সাম্যময় , আত্মা ।।

.    .    .

Discus