Image by Suraaj M from Pixabay
যুদ্ধ সমাপ্তি তোমাদের হে পান্ডব হে কৌরব!
কেহ মৃত্যুকে লভিল, তো কেহ রাজসিংহাসন;
কেহ স্বর্গভূমি চুমিল, তো কেহ পেল মহামোক্ষ,
আমি! হা! হা! ললাটঝরিত লহুপূর্ণ নির্বাসন।
আমার শিরোরত্ন উচ্ছেদে ছুঁড়ে দিল আশীষ-
মর্ত্যের দূর্গম পাহাড়ে পর্বতে, আঁধারে সংকটে,
দেহের ব্যথা জ্বলনে, না বিশ্রামে নাহি শয়নে;
ছলে পিতাবিয়োগের কষ্টে, মিত্রের করুণ হতে,
একাকী এই ব্যাধিগ্রস্ত ভাগ্য নিয়ে রব বহমান।
অমরত্ব পরিধান জড়ানো এই আসুরিক পরাণে
আর কত অহর্নিশ মরিব, নয়ন রঞ্জন, মৃত্যুহীন?
আমি পাপিষ্ঠ, পূর্ণ ভূমিষ্ঠ, বিদ্ধন নারায়নবাণে।
প্রত্যক্ষ দেখিনু আঁখিদ্বয় বস্ত্রহরিত দ্রুপদকন্যার
লজ্জা, অপমান, ঘৃণার বন্যা বহেছিল সে ক্ষণ;
আপন অহং বিভোর মোর নাহি কোনো সুবুদ্ধি!
যদি কথাবলে মম রাখতাম বিরত মিত্র দূর্যোধন।
চুপিসারে সংসারের ধিক্কারে আজি এ দ্রোণতনয়-
না পায় কোনো মুক্তিদিশা, না ঊষা, নাহি বসন্ত-
শুধু নতশিরে মৌন হইয়া ঘুরি-ফিরি দিগ্বিদিক-
নিস্তেজ দৃষ্টিতে থাকি চেয়ে ত্রিসহস্র সনের অন্ত।