এসো না রবি বসো আমার পাশে দু' দণ্ড-
আমি নইকো তেমন মানের, তবে নইকো মন্দ।
আমি পড়েছি তোমাকে বেশকিছু কবিতা-গল্পে,
তবে মন ভরে নি এই জলবিন্দুসম অল্পে।
প্রাথমিক তথা উচ্চশিক্ষা হতে মোর অন্তরে তোমার বাস-
যবে জ্ঞানচক্ষু মেলি; তুমি চাষী, আমি তব চাষ।
ওই গ্রীষ্ম বিভীষিকার বৈশাখ আমার একটুও নয় পছন্দ!
কিন্তু তোমার পঁচিশ, বর্ষার ধারার ন্যায় দেয় আনন্দ।
তুমি রবি, মহাকবি, ধ্রুবতারার মতো জ্বলজ্বল-
আমি অধম জোনাক হতেও অপারক, আঁখি ছলছল।
রচেছো প্রশান্ত নেই অন্ত তুমি বাগদেবীর অহংকার-
তুমি কভু কবি, কভু উপন্যাসিক, ছোটগল্পের রূপকার।
আমি কোনো কবি নয় হে আধুনিক কৃত্তিবাস!
নিছক কিছু শব্দ নিয়ে করি খেলা এ মোর বিশ্বাস।
যখনই কলমের কালি মানে হার কবিতা লিখনে,
ভাবি বসে মন উদাসে যদি থাকতে তুমি পিছনে;
কিছু শব্দের ভাণ্ডার, ভাবের দর্শন দিতে ভরে মাথে,
এক সুন্দর সৃষ্টি হতো সত্যি আমার এই ডান হাতে।
মানি না আমি বাংলা পঞ্জিকার বাইশে শ্রাবণ,
তুমি আছো, রবে মোদের বঙ্গমাটিতে চিরন্তন।
রবি যায় না অস্ত ফিরে আসে দিনে দিনে প্রভাতে,
এই মহাকাশ শূন্য যদি না থাকে তোমার ছোঁয়াতে।
তুমি উওম, তুমি পরম, তুমিই পরশমণি-
তোমার স্পর্শে জাগ্রত হোক আমার কলমের রচনাখনি।