Source: Gerd Altmann from Pixabay

মুখ লুকোনো শব্দগুলো ভিড় করেছে উল কাঁটাতে ,
আলগা বুনোট , স্বপ্ন বোঝাই উড়িয়ে দিলাম তোর পাড়াতে ।
ট্যাক্স বসেছে অনেক বেশি, বরাদ্দ কম প্রেমের খাতে ;
কার্ফু টহল নাড়ায় কড়া চারটে হাতের ঠান্ডা ভাতে ।

আঁচল বাঁধা আউশ মুড়ি , ছড়িয়ে তাতে নকুল দানা ;
গণতন্ত্র ফেরার রাতে, তোকেই খোঁজে হাস্নুহানা ।
ভৈরবি তোর কণ্ঠে শুনে , শালিখ আবার মেলবে ডানা ;
হাসবে জোনাক শেষ বিকেলে , দূরের গাঁয়ে , নাম না জানা ।

কীর্তনে রোজ মিশবে আজান , সন্ধ্যে হলেই তোর সেতারে ;
সন্তোষী মার উপোস রেখেই পড়বি নামাজ জুম্মাবারে ।
কোরান গীতার পড়শি আজও তোর মগজের বইয়ের ঘরে ,
সিন্নি-সিমাই এক হয়ে যায় তোর শহরের চায়ের ভাঁড়ে ।

তোর জন্যই আড্ডা জমুক ধর্মতলায় দখিন-বামে ,
দোল মিশে যাক ঈদের চাঁদে, অযোধ্যার ওই আল্লা-রামে ।
তোর কথাতেই ধর্ম ভুলে বিবেক বেচি সস্তা দামে ;
পলিটিক্সের অঙ্ক ছেড়ে কাব্য হয়ে সৃষ্টি নামে ।

তোর গল্প কেউ পড়ে না , হলদে আলোর খাসখবরে ;
কাঁটাতারের কান্না লেখে --- হুগলি আমি , তুই যশোরে ।
উই কেটেছে কাগজ আমার , ডিটেনশনের অন্ধকারে ;
তোর কবরে গোলাপ হব , রাষ্ট্রবিহীন জাতিস্মরে ।

.    .    .

Discus