ঘটনাটা ঘটনাই, বহুদিন আগের ব্যাপার। তখন কলকাতাতে এত দেহব্যবসায়িনীর আমদানী হয়নি। আর তাদের কাছে যারা যেতেন, প্রচুর পয়সাওয়ালারাই। খুশী হয়ে টুকটাক মণি-মাণিক্যও তাদের হাতে তুলে দিতেন, ফলে বেশি বয়সে তাদের শরীরের কদর না-থাকলেও , প্রচুর রত্নাদি বিক্রি করে দিন গুজরানের কোন অসুবিধা হতনা।

হাড়কাটা গলির তেমনই এক বাসিন্দা ছিলেন পদ্মাবতী বাঈ , তার সঙ্গেই আজকের সাক্ষাৎকার।

দরজায় নক করতেই , ভিতর থেকে সুরেলা কণ্ঠের উত্তর _ কে?

পৌষালী – দিদি আমি পৌষালী রায় , আমার রিলেটিভ ডাঃ কমলাকান্ত হাজারী মানে কে . হাজারীর কাছ থেকে আসছি ….

আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই দরজা খুলে একগাল হাসিমুখে বেরিয়ে এলেন, টুকটুকে ফরসা ষাটোর্দ্ধা এক মহিলা – (খুব খুশি হয়ে ) তুমি আমার বাবার কাছ থেকে আসছ ? বল , কি দরকার, বলে একটা চেয়ার দেখিয়ে বসতে ইঙ্গিত করলেন।

ঘরের চারপাশটা একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে বললাম , আমি পৌষালী … ধবধবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বিছানা, রুচিশীল কয়েকটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আসবাব , জিনিসের অহেতুক বাহুল্য নেই। এক কোণে একটা ছোট্ট দোলনা বাক্সে স্বর্ণাভরণে ভূষিত রাধাকৃষ্ণের মূর্তি , সামনে পেতলের ঝকঝকে প্রদীপ সদ্য জ্বালা হয়েছে ….. আর ঘরের মালকিনও শুভ্রবসন পরিহিতা। এককালে যে ডাকসাইটে সুন্দরী ছিলেন, বলার অপেক্ষা রাখেনা।

_ কিগো মেয়ে , কি জন্য এসেছ বললে নাতো , কি এত আকাশ-পাতাল ভাবছ ?

_ আমি একটি নারী কল্যাণ সমিতির অন্যতম সদস্যা, আসল নাম মন্দিরা মিশ্র। কে হাজারী সম্পর্কে আমার জ্যাঠামশাই হন , এক গণিকার সাক্ষাৎকার দরকার বলতে , উনিই আমাকে আপনার কাছে পাঠিয়ে দিয়ে বললেন , ‘ স্বল্পশিক্ষিত হলেও জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতায় , বয়সের মতই প্রবীণা । ঐ তোমাকে যথাসাধ্য সাহায্য করবেন ‘

পদ্মাবতী _ বাবা ঠিকই বলেছেন, আমি মাত্র ক্লাস সেভেন অবধিই পড়েছি। আমার আসল নাম ছিল সুদর্শনা চৌধুরী, বাড়ি ছিল গোবরডাঙার গইপুরে । বাবা-মায়ের একমাত্র নয়নের মণি … অবশ্য সেসব এখন অতীত, শুধু নামটাই এখনো হৃদয়ের এক কোণে লেখা রেয়ে গেছে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কোনভাবেই মুছতে পারবনা আমি।

আপনাকে আমার মায়ের মতই লাগছে , যদিও মায়ের গায়ের রঙ একটু চাপাই ছিল , তবে সব ভাইবোনদের ছাপিয়ে গিয়ে আমি হয়ে উঠেছিলাম গ্রামের সকলের ‘মেমসাহেব‘। আমি গোবরডাঙা কলেজের ছাত্রী, তার পিছনেই তো গইপুর, তাই আজ থেকে আপনি আমার পদ্মদিদি।

এমা, দেখুন আপনার কথা শুনতে এসে নিজের কথাই বলে চলেছি ……….

তোমার পরিচয়টাও তো আমার জানা দরকার ছিল, বললেন উনি।

আমার ( পৌষালীর ) রেকর্ডার ততক্ষণে চালু হয়ে গেছে ….

আমি – দিদি আমার প্রধাণ জিজ্ঞাস্য, আপনি সুন্দর ফুটফুটে তেরো/চোদ্দ বছরের গোবরডাঙার বাসিন্দা হয়ে , এই হাড়কাটা গলিতে এলেন কি-করে ? আর এই গণিকাবৃত্তিই বা কেন?

পদ্মাবতী করুণ হেসে বললেন, ‘ সে আমার জীবনের এক কলঙ্কময় অধ্যায় বলতে পার, যা ভুলতে চাইলেও নিষ্ঠুর অতীত আমাকে ভুলতে দেয়না, অন্তরটা আজও কুরেকুরে খায়। আজ পর্যন্ত কারোকেই বলতে পারিনি সে কথা।

আমি – কিন্তু দিদি , আমার কাছে আপনার সেই কলঙ্কময় অধ্যায়টা বলতেই হবে, আমি যে কে হাজারীর (প্রখ্যাত চক্ষু-বিশেষজ্ঞ, তখনকার) কাছ থেকে এসেছি।

পদ্মাবতী – সেদিন একটা লাল টুকটুকে শাড়ি পরে মা-বাবার সঙ্গে যমুনার ধারে দ্যাওড়ার মেলায় গিয়েছিলাম । বয়সটা তেরো হলেও চেহারায় একটু বড়সড়ই ছিলাম , আর রূপের জন্য পাড়ার লোকেরা আমায় সুন্দরী বলেই ডাকত।

ঐ রূপই আমার কাল হল ….. তুমি তো ভালই জানো ঐ মেলা চলত একমাস ধরে। ঘর-গৃহস্থালীর যাবতীয় জিনিস, কাঁচের চুড়ি-বালা, খেলনাবাটি মায় খাবার-দাবারের দোকান কিছুই বাদ যেতনা। ঐ অঞ্চলে তখন তেমন দোকানপাটও ছিলনা, সপ্তাহে দু দিন হাট বসত, তাতেই যা কেনাকাটা। তাও ভাল জামাকাপড়, দা, বটি, কাঠের আসবাব কিছুই তেমন পাওয়া যেতনা। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে প্রায় সারা বছরের বাজার করত । নদীর কোল থেকে শুরু করে চারপাশে ছড়িয়ে উঠে আসত একেবারে জমিদারবাবুদের বারো শিবের এবং কালীমন্দিরের দরজা পর্যন্ত।

আমি _ হ্যাঁ আমিও ছোটবেলায় ভ্যানরিক্সায় চেপে ঠাকুমার সঙ্গে গেছি বার দুয়েক, মায়ের ধামা, কুলো, দা, বটি কেনার জন্য। সে একেবারে জনসমুদ্র বলা যায়।

পদ্মাবতী – ঠিকই বলেছ মা, জনসমুদ্রই বটে, তবে আমাদের সময়ে আরো রমরমা ছিল। যত দিন গেছে, শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বেড়েছে, মেলার আকর্ষণও কমেছে … এখন হয়তো উঠেই …..

আমরা গেছিলাম মেলা বসার দিন পনেরো পরে, মানে একেবারে জমজমাট মেলায়। মায়ের কেনাকাটা প্রায় শেষ , শুধু আমার কাঁচের চুড়ি, নেল পালিশ ….. ইত্যাদির জন্য একটা মনিহারি দোকানে ঢুকে কেনাকাটি করছি। বেলা পড়ে আসছে , আমি চুড়ি পছন্দ করে বসেবসে দোকানদারের কাছে পরছি , বাবা বলল , তুই চুড়ি পরে এখানেই দাঁড়াবি , কোথ্থাও যাবিনা , আমরা এই পাশেই খাবারের দোকান থেকে আসছি ‘

চুড়ি পরা হয়ে গেলে দাঁড়িয়ে হাত ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে দেখছি …

পিছন থেকে একজন পুরুষকণ্ঠ বলে উঠলো, ‘বাঃ বেশ মানিয়েছে তো তোমায় ‘

শুনে আমি পিছন ফিরতেই , আমার নাকে একটা রুমাল চেপে ধরতেই ….. শরীরটা অবশ হয়ে গেল…. 

কানে আসছে যেন বহুদূর থেকে মা-বাবার করুণ, অস্পষ্ট আর্তনাদ … অনেক চেষ্টা করেও গলা দিয়ে কোন স্বর বেরলো না, চোখের পাতাগুলো কি বিষম ভারি, খোলার শক্তিও নেই। আচ্ছন্নভাব, অথচ বুঝতে পারছি … গাড়িতে কোথাও চলেছি আমি, সবাইকে ফেলে দূরে …. বহুদূরে ….

এই পর্যন্ত বলে থামলেন, বারবার ঢোঁক গিলছেন, সেই মা-বাবাকে শেষ দেখার কথা মনে করে, আবেগ সংবরণ করার চেষ্টা …

আমি জলের গ্লাসটা এগিয়ে দিলাম সংযত করার জন্য । রেকর্ডারটাও বন্ধ রেখেছি, ওনাকে সময় দেওয়ার জন্য, যতই হোক নাড়ির টান বলে কথা ….

মিনিট তিনেক বাদে উনি নিজেকে সামলিয়ে মুখ খুলতেই, আমিও রেকর্ডার অন করলাম ….

পদ্মাবতী – যখন পুরো স্বাভাবিক হয়ে চোখ মেললাম, দেখলাম একটা সুসজ্জিত ঘরে, বড়ো খাটে শুয়ে আছি, গৃহস্বামী বেশ অবস্থাপন্ন বোঝাই যাচ্ছে। অনবরত গাড়ি চলাচল করছে …. কথাবার্তার আওয়াজ ….. মনে হল কোন শহরাঞ্চলেই এসেছি আমি । ঘরে বিজলীবাতির নরম নীলচে আলো … খোলা দরজার কাছে পায়ের শব্দে চমকে তাকিয়ে দেখি, মাঝবয়সী এক মহিলা হাসতে-হাসতে ঢুকছেন, ‘কি সুন্দরীর ঘুম ভাঙলো ? ‘

ধড়মড়িয়ে উঠে বসে বললাম, ‘ আমি কোথায়? আমি বাড়ি যাব, আমার মা-বাবা কাঁদছে … ‘

মহিলা _ তুমি তো কলকাতায়, তবে এটা এমন জায়গা, যেখানে ঢোকা যায়, কিন্তু বেরনোর রাস্তা বন্ধ। আর মা বাবা তো কাঁদবেই, এমন ফুলের মত মেয়ে হারিয়ে গেলে, তার মা-বাবাকে সারাজীবন কাঁদতে হয়, কারণ তাঁরা বুঝেই যান তাঁদের টুকটুকে মেয়েটার ভবিষ্যৎ জীবনের পরিণতি ….‘

আমি কথাটার অর্থ সেভাবে না বুঝলেও, ভিতর থেকে একটা কষ্ট যেন ঠেলে উঠে আসছে মনে হল, উপুড় হয়ে পড়লাম খাটে। ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলেছি, মহিলা আমাকে আদর করে, মাথায় হাত বুলিয়ে খাওয়ানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন … পুরো দেড়দিন ধরে কেঁদেছি, চোখের জল যেন শুকিয়ে গেল একসময়, অসম্ভব ফুলে গেছে চোখ আর প্রচণ্ড জ্বালা, সেইসঙ্গে পেটেও যেন দাবানল জ্বলছে। হাজার হোক মানুষের শরীর তো, খাবার না পেলে তার কলকব্জা তো খারাপ হবেই …..

এবার মহিলার ডাকে আস্তেআস্তে উঠে বাথরুমে গিয়ে ভালো করে চান করলাম, নতুন একটা ফ্রক পরতে দিয়েছিলেন উনি, সেটা পরে বাইরে আসতে, নিজে হাতে করে আমাকে খাইয়ে, চুল আঁচড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বললেন, ‘মা, না বলতে পারলেও আমাকে মাসি বলেই ডাকিস না-হয়। ওরে আমার জীবনেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল একদিন। দেখতে-দেখতে পঞ্চাশটা বছর হয়ে গেল আমার এইখানে, ধীরেধীরে সব সয়ে যায় বুঝলি? এবার একটু বিশ্রাম নে। সন্ধে হয়ে আসছে, এখনই এ বাড়ির চেহারা বদলে যাবে। ক’দিনেই বুঝে যাবি সব, আমি এখন আসিরে, রাতে তোর কাছেই থাকব ‘বলে বেরিয়ে গেলেন উনি।

আমি _ তারপর থেকেই কি আপনার নাচ-গানের তালিম শুরু হয়ে গেল দিদি?

পদ্মাবতী – সন্ধে হয়ে গেছে, তুমি চা খাও নিশ্চয়? আমি যদি চা করি, তুমি কি…..

ওনাকে থামিয়ে দিয়ে বললাম _ কি বলছেন আপনি, দিদি বলে ডাকলেও আপনি তো আমার মায়ের মত। মায়ের কি কোন জাত হয় , না মায়ের সঙ্গে কোন ছুঁৎমার্গ থাকে? অনেকক্ষণ কথা বলছেন আপনি , গলাটাও নিশ্চয় শুকিয়ে গেছে আপনার। আমারও বেশ চা তেষ্টা পেয়েছে, আপনি চা করুন, একটু তৃপ্তি করে খাই।

খুব খুশি হয়ে চা আর একবাটি মুড়িমাখা আমাকে দিলেন, নিজেও নিয়ে বসলেন। বেশ তারিয়ে-তারিয়ে সুন্দর চা আর মুড়িমাখা শেষ করলাম। বাসনগুলো ভিতরে রেখে এসে গুছিয়ে বসলেন।

‘এবার তাহলে বাকিটুকু শুরু হোক ‘, বলে রেকর্ডার অন করলাম।

পদ্মাবতী – তোমার যা জানার ছিল, তা তুমি পেয়ে গেছ মোটামুটি …. তারপর আর কি, কয়েকদিন পর থেকেই শুরু হল সকাল, সন্ধে দুবেলা কঠোর ট্রেণিং। মাস ছয়েকের মধ্যেই রপ্ত করে নিলাম , অবসর পেলেই মা বাবার কথা মনে পড়ত , চোখের জল আর দীর্ঘশ্বাস ….

তবে মহিলার কাছেই শুতাম আর মাসি নয় মা বলেই ডাকলাম তাঁকে। তারপর নিজের আলাদা ঘর পেলাম, উপার্জনও শুরু হল ….. মিষ্টি চেহারা আর সুরেলা গলার জন্য আমার দামও বাড়তে থাকল …..

বড়বড় প্রাসাদোপম বাড়ির অনুষ্ঠানে মুজরো করতেও যেতাম আমি। প্রচুর টাকা, গয়না, মণি-মুক্তো উপহার হিসাবে পেতাম … তাই এখনো টাকার অভাব বোধ করিনা আমি। এ বয়সে অনেকেই অর্ধাহারে , অনাহারে কাটিয়ে খুবই দুরবস্থায় পড়ে চোখ বুজায় ....

ধীরেধীরে আমার এই মা’ও চোখ বুজলেন, আমাকে ওনার দায়িত্বভার দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু যে জীবন গ্রহণের শিকার হয়েছিলাম আমি নিজে, অন্য কোন মেয়ের সর্বনাশের কারণ হতে পারব না বলে দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়েছিলাম ….

আমি _ অনেক ধন্যবাদ দিদি, আপনার বিগত জীবন থেকে এই বৃত্তি গ্রহণের ইতিহাসটা খোলা মনে আমার সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। শুধু একটা শেষ প্রশ্ন – ডাঃ কে হাজারী, আপনার বাবা হলেন কিভাবে?

পদ্মাবতী _ বাবার কাছে চোখ দেখিয়েছিলাম ওনার সাত তলা বাড়ির পাতাল ঘরের চেম্বারে। উনিই আমার চোখ অপারেশন করেছিলেন। তারপরে কিছুদিন যেতে হয়েছিল চেক-আপ করাতে, এত ভালো ব্যবহার ওনার, নিজের অজান্তেই বাবা বলে ডেকে ফেল্লাম।

সেই থেকে যেকোন দরকারে পরামর্শের জন্য ছুটে গেছি বাবার কাছে পরামর্শ চাইতে, কখনও ফিরিয়ে দেননি, এমনকি আমার প্রকৃত পরিচয় জেনেও ….

আমার আমন্ত্রণ ও কখনো উপেক্ষা করেননি, চেম্বার সেরে মা’কে নিয়ে একটু বেশি রাতে আসেন, জন্মাষ্টমীর প্রসাদ খেতে, আমার হাত ভরতি করে টাকা দিয়ে আশীর্বাদ করে যান।

আমার শেষ ইচ্ছেটাও পূরণ করবেন বলে কথা দিয়েছেন বাবা ………

দিদি, আমি কি জানতে পারি আপনার শেষ ইচ্ছেটা?

হ্যাঁ হ্যাঁ, কেন নয় ……… আমার এই প্রাণাধিক প্রিয় রাধাকৃষ্ণের সেবার ভার, সেই সঙ্গে আমার যেটুকু অর্থ….. সম্পদ থাকবে, তা বাবারই প্রাপ্য।

সমস্ত কথা রেকর্ডারে বন্দী করে ফিরে এলাম , ওনার কথামতো ওনার মৃত্যুর পরেই আমাদের মাসিক পত্রিকায় প্রকাশ হল, কিন্তু ওনার অনুরোধে ছবি তুলিনি, ছাপাও হয়নি তাই।

সমাপ্ত

বিঃ দ্রঃ _ ওনার মৃত্যুর পর, ওনার প্রচুর ধন-সম্পদ, উইল অনুযায়ী ডাঃ হাজারী পেয়েছিলেন। ওনার মৃত্যুশয্যায় সস্ত্রীক পাশেও ছিলেন ডাঃ। ওনার সাত-তলা বাড়ির একতলায় পদ্মাবতীর আরাধ্য রাধাকৃষ্ণের মূর্তিও স্থান পেয়েছিল, নীচে লেখাও ছিল …. পদ্মাবতীর ঠাকুর।

মানুষগুলো সত্যি হলেও সাক্ষাৎকারটা কাল্পনিক, কেবলমাত্র পরিচয়ের.

.    .    .

Discus